মহিলা আ. লীগ নেত্রী ফেন্সি খুন নেত্রী ফেন্সির স্বামী রিমান্ডে, সতীন কারাগারে

চাঁদপুরে কলেজের অধ্যক্ষ ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহীন সুলতানা ফেন্সি হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার স্বামী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামকে দুই দিনের রিমান্ড ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমকে কারাগারে পাঠিয়ে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশও দেওয়া হয়েছে।

বুধবার আসামিদের আদালতে নেয়া হলে চাঁদপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোশারফ কায়সার ইউসুফ এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমকে আদালতে নেয়ার পর আদালতের কাছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আর জহিরুল ইসলামের আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করেন।

আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জহিরুলকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন। এছাড়া মামলার দ্বিতীয় আসামি জুলেখা বেগমকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন কোর্ট ইন্সপেক্টর ইব্রাহিম খলিল। তিনি আদালতকে বলেন, মামলার বাদীপক্ষরা তাকে (জহিরুল) প্রধান আসামি করেছেন। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাকে কারাগারে পাঠানো এবং রিমান্ডে আনার প্রয়োজন রয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী চাঁদপুর বারের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লা আল মামুন আদালতকে জানান, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম বারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি একজন দীর্ঘদিনের রাজনীতিক। তাকে ফাঁসানোর জন্য তৃতীয় কোন পক্ষ এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আদালতকে জানিয়ে তার জামিন আবেদন করেন।

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘাতক এবং ক্লু খুব দ্রুতই বেরিয়ে আসবে।

বুধবার ওয়াপদা গেইট এলাকায় নিহত শাহীন সুলতানা ফেন্সির প্রথম জানাজা বাদ আছর অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে রাতে তার দাফন হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

গত ৪ জুন সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সির (৫০) রক্তাক্ত মৃতদেহ চাঁদপুর শহরের পাকা মসজিদ এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখাকে আটক করা হয়।

পরদিন ৫ জুন ৪ জনের নাম উল্লেখ করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ফেন্সির ভাই ফোরকান খান।